শনিবার, ২ মার্চ, ২০১৩

মসজিদে নববী:



মসজিদে নববী:


পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তর মসজিদ হচ্ছে মসজিদে নববী। মসজিদে নববী র শাব্দিক অর্থ হলো নবীর মসজিদ, মদীনায় হিজরতের পর নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) কর্তৃক নির্মিত মদিনা মসজিদ কে বোঝানো হয়ে থাকে। হিজরতের পর মুসলমানদের নামাজের জন্য নবী মুহাম্মদ (সা:) "মদীনা মসজিদ" অর্থাৎ "মসজিদে নববী" নির্মাণ করেন। মসজিদটি নির্মান করতে ৭ মাস সময় লেগেছিল। ৬২২ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরের পর থেকে শুরু হয়ে ৬২৩ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মদিনা মসজিদের নির্মান কাল নির্ধারন করা হয়। এই মসজিদের অভ্যন্তরে নবী মুহাম্মদ (সা:)-এর রওজা সমাধিস্থল অবস্থিত। মহানবীর (সা:) র রওজার দু’পাশে রয়েছে হযরত আবুবকর (রা:) ও হযরত ওসমান (রা:)-এর কবর। বিশেষ করে হজ্জ সম্পাদনের আগে বা পরে হাজ্জ্বীরা মসজিদে নববীতে এক নাগাড়ে কমপক্ষে ৮ দিন অবস্থান করে নাগাড়ে ৪০ রাক্বাত নামাজ আদায় করেন। মসজিদটির আয়তন ৪০০৫০০ স্কয়ার মিটার এবং ধারন ক্ষমতা ৬,৫০,০০০ জন।

জম জম কুপের পানি আল্লাহর রহমতস্বরুপ।

জম জম কুপের পানি আল্লাহর রহমতস্বরুপ। শিশু হজরত ইসমাইল ও তার মা'কে যখন আল্লাহর নির্দেশে হজরত ইব্রাহিম (আঃ ) নির্জন মরুভুমিতে পরিত্যাগ করেন। তখন তার পায়ের আঘাতে জমজম কুপের উৎপত্তি হয়।মা হাজেরা কুপের চারপাশে চারটি পাথর দিয়ে সিমানা দিয়ে দেন তা না হলে সারা পৃথিবীতে জমজম কুপ ছড়িয়ে পড়ত।

জমজম কুপের পানি অনেক রোগ নিরাময় করে। যারা হজ্জ করতে যানা তারা বোতলে ভরে জম জম কুপের পানি নিয়ে আসেন। এত মানুষ খায় তবু পানির ফোটা পরিমান ও শেষ হয় না।এভাবে আল্লাহ তার বান্দার জন্য ঐশীবানী নিদর্শন রেখেছেন।

নীচে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে সেই জম জম কুপ ! ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসছে জম জম কুপের পানি। সুবাহানআল্লাহ্‌ ।।

→আমাদের উৎসাহ দিতে আপনার করণীয়  ←


এই তথ্য সম্পর্কে কমেন্টে আপনার মতা মত দিয়ে ।